Header Ads

Header ADS

নোয়াখালী সুবর্ণচরে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে মসজিদের ঈমাম উধাও!

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সুবর্ণচরে পূর্নিমা আক্তার (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে পেলে পালিয়ে গেলেন ৩ সন্তানদের জনক মসজিদের ঈমাম নুরুল আলম। 


স্বরজমিনে গিয়ে জানাযায়, সুবর্ণচর উপজেলার ৪ নং চর ওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের হাজী দুদা মিয়া জামেমসজিদের ঈমাম, আল আমিন বাজার মাদ্রাসার শিক্ষক, আন্ডার চর ইউনিয়নের জাকির মিকারের বাড়ীর জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুর আলম (৩৮) গত ২১ এপ্রিল শবে বরাতের রাতে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের মোঃ ফারুকের মেয়ে স্থানীয় সুবর্ণচর গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্নিমা আক্তার (১৪) কে প্রেমের ফাঁদে পেলে অজানার উদ্দ্যেশ্য পাড়ি জমায়। 

সে থেকে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মেয়ের বাবা মোঃ ফারুক চরজব্বর থানায় এবিষয়ে একটি সাধারন ডায়রী করেন জিডি নংঃ- ৩২৫/ ২০১৯। এব্যাপারে পূর্ণিমার বাবা ফারুকের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, তারা প্রাথমিক ভাবে মেয়ে হারানো গেছে মর্মে একটি সাধরান ডায়রি করেন, এবং নিতি বিস্বস্থ সূত্রে জানতে পেরেছেন, নুর আলম তার মেয়েকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে ও করেছেন। বিবাহের উপযুক্ত না হতেই কি ভাবে বিয়ে করলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে দেখতে শুনতে বড় হয়ে গেছে, এর চেয়েও ছোট মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে। পরে তিনি ফোন কেটে দেন। এ

দিকে নুর আলম হুজুরের বর্তমান স্ত্রী ৩সন্তানের জননী রাহেলা(ছন্ধ নাম) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, সে সমাজের ঈমাম ছিল, সে এমন কাজ করবে আমি ভাবতেও পারিনে, কিছুদিন যাবত তার এমন কর্মকান্ডে বাধাঁ দিলে সে আমাকে প্রায় মারধর করে, এবং এসব বিষয়ে প্রায় আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতো, আমার বাবাও একজন আলেম এবং একটি মসজিদের ঈমাম আমি মানসম্মানের ভয়ে মুখ খুলিনি। বর্তমানে পূর্নিমার পরিবার আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি নুরল আলমের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

তিনি আরো বলেন, আমার ৬ বছর বয়সী এক সন্তান মারা গেছে বর্তমানে ৪ বছর বয়সের সিয়াম নামের আরেক সন্তান বড় হচ্ছে এবং ৩ মাসের অনাগত সন্তান আমার পেটে এই অবস্থায় আমি কোথাই যাবো কি করবো বুঝতে পারছিনা। এ ব্যপারে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার ওসি শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, মেয়ের বাবা একটি জিডি করেছেন, নুরুল আলমকে আসামী করে অভিযোগ করলে আমি দ্রুত আইনী ব্যাবস্থা নিবো। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, নুরুল আলম এর আগেও একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছে, সমজিদের ঈমাম ছিলো তাই আমরা ভালো মনে করে কোন প্রতিবাদ করিনি। নুরুল আলমের পৈত্রিক বাড়ী নোয়াখালী সদর উপজেলার আণ্ডাচর ইউনিয়নে। সে দির্ঘ বছর ধরে পূর্ব চরজব্বর গ্রামে টিনসেডের বাড়ী ঘর করে থাকে, এবং সে এলাকায় তাবিজ কবজের ব্যবসা করতো। নুরুল আমিনের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

No comments

Theme images by TommyIX. Powered by Blogger.