Header Ads

Header ADS

নোয়াখালী সুবর্ণচরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার!

নোয়াখালী সুবর্ণচরে দীপা রানী মজুমদার (১৯) নামের ২ মাসের এক অন্তস্বত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে চরজব্বার থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে।
 

নিহত দ্বীপা রানীর বড় ভাই শ্যামল চন্দ্র মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের নোয়া পাড়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র মজুমদারের পুত্র শ্যামল চন্দ্র মজুমদার(২২) এর সাথে সন্ধিপ উপজেলার কালাপানা ইউনিয়নের শিপত চন্দ্র মজুমদারের মেয়ে দ্বীপা রানী মজুমদার (১৯) এর সাথে বিগত ৫ মাস আগে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায় শারিরীক নির্যাতন করতো স্বামী ও তার পরিবার। মেয়ের সুখের কথা ভেবে নিহতের বাবা শিপত চন্দ্র মজুমদার ২ মাস আগে ৮০ হাজার টাকা দেন। পরে আরো ১ লাখ টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এ অবস্থায় দ্বীপা রানী মজুমদারকে পৈত্রিক বাড়ীতে নিয়ে যেতে একাধিক বার তার বাবা ভাই আসলেও তাকে বাবার বাড়ীতে যেতে দেয়নি স্বামী এবং শশুর। 

নিহতের ভাই আরো বলেন, বিগত কয়েকদিন আগেও দ্বীপা টাকা চেয়ে তার বাবাকে ফোন করে প্রায় কান্নাকাটি করতেন। যৌতুকের জন্যই আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় নিহতের স্বামী গৃহবধূকে গলা পেচে স্বাস রোধ করে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে, এবং গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে অপ্রপচার চালাচ্ছে। গৃহবধূ দ্বীপা রানী দাসের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই স্বমী শ্যামল মজুমদার পলাতক রয়েছে। 

নিহতের শশুর রাখাল চন্দ্র মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ী এসে দেখেন দ্বীপা নেই পরে তারা ঘরের ভেতরের রুম আটকানো দেখে পার্শ্ববর্তী লোকজনকে এনে রুমের দরজা ভেঙ্গে দ্বীপাকে উদ্ধার করে। 

 চরজব্বার থানার ওসি শাহেদ উদ্দীন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে চরজব্বর থাকার একটি টিম গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে, এব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নিবো।

No comments

Theme images by TommyIX. Powered by Blogger.