Header Ads

Header ADS

সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা শুনে যা বললেন তারা

ডেস্ক নিউজ: 
দেশে বিদেশি ছবি প্রবেশের সহজ নীতিমালা ও দেশীয় ছবি নির্মাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। এ বিষয়ে সরকার যদি আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ না নেয় তাহলে ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে এই সংগঠনটি। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটেতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছে সমিতির নেতারা। এমন ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন
তারকারা। এ বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আমি এই হল বন্ধের বিষয়টি শুনলাম। প্রদর্শক সমিতি তাদের দাবির জন্য হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও তো দাবি করেছিলাম আমাদের পরিচালকদের ন্যায্য টাকা ,মুনাফা , ঠিক মতো ফিরে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা সেটা দেয়নি আমরা শুধুেই অজুহাত শুনেছি। এই প্রসঙ্গে এখন বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’ সিনেমা হল বন্ধের বিষয়টির তিব্র সমালোচনা করেছেন চিত্র নায়ক রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ অনেক আগে থেকেই চাচ্ছে বাংলাদেশে বিদেশি ছবি চলুক। সেই লক্ষ্যে তারা দীর্ঘ দিন থেকেই কাজও করে যাচ্ছে। তাদের নানা রকমের ষড়যন্ত্র চলছে। আর এখন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ ভাই হল বন্ধের যেই আলটিমেটাম দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বলবো এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উনাদের প্রপার লোকজনের সঙ্গে বসা উচিৎ ছিল। এমনিতেই তো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির খারাপ অবস্থা। এই সময় সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার উদ্দেশ্য কী তারাই ভালো বলতে পারবেন।’ প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘গত সপ্তাহে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটা মিটিং ছিল রপ্তানি -আমদানি , বিদেশী ছবি ,সাফটা ,এবং নিষেধাজ্ঞার সকল বিষয়ে নিয়ে এই মিটিং উপস্থিত ছিল তথ্য সচিব , চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ,শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি জায়েদ খান , চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার নওশাদ ,প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, এবং প্রযোজক সমিতি থেকে আমিও ছিলাম। এই মিটিংয়ে কথা উল্লেখ করা হয়েছিল যে সহজেই ছবি আমদানি-রপ্তানি এবং সাফটায় সহজাত করা যায় এবং আলোচনা চলছিল বর্তমানে যে সমস্ত সমস্যাগুলো হচ্ছিলো। আগামী সপ্তাহে এ -নিয়ে আরো একটি মিটিং হবার কথা আছে। আলোচনার ফলাফল না নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা একদম ঠিকই হচ্ছে না।’ এই বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘সিনেমা হলের মালিকরা ব্যবসা করে সিনেমা হলে। আমরা নির্মাতারা সিনেমা তৈরি করি একজন প্রযোজকের মাধ্যমে। এখানে দুইটা পক্ষ। তাদের চিন্তা তারা করছে। প্রডিউসারের ব্যবসার চিন্তা প্রডিউসারকে সঙ্গে নিয়ে আমরা করি। এখানে তৃতীয় পক্ষ হলো সরকার। হল মালিকরা সিনেমা হল নিয়ে বিপদে আছে, সিনেমা হলে পারফেক্ট ছবি চালাতে পারছে না। কারণটা হলো চলচ্চিত্রে প্রযোজক যে টাকা খরচ করেন, তার টাকার নিশ্চয়তা যতদিন না দিতে পারছেন। ততদিন এসব ঠিক হবে না। নতুন প্রযোজক আসবে একটা ছবি বানিয়ে আবার চলে যাবে। পুরনো অনেক প্রযোজকরাও যখন দেখেছে তাদের ছবি ভালো ব্যবসা করার পরেও তারা টাকা ফেরত পাচ্ছে না। তারাও ছবির জগৎ থেকে সরে গেছে। মধুমিতা সিনেমা হলেই ধরা যাক। তারা ডিসির টিকিট বিক্রি করেন ১৫০টাকা। এই টাকা থেকে আমার প্রযোজক পায় ৩০ টাকা। এরমধ্যে প্রযোজককে মেশিনের ভাড়া দিতে হয়, পোস্টার বানাতে হয়, প্রচারণা চালাতে হয়, রিপ্রেজেন্টিটিভকে টাকা দিতে হয়। সব খরচ করে প্রযোজক পায় ৩০টাকা। আর গোডাউন ভাড়া দিয়ে হল মালিক পায় ১২০টাকা। হল মালিক ও প্রযোজক-নির্মাতা এই দুই পক্ষকে নিয়ে সরকারের উচিৎ এক সঙ্গে বসা।’ এটার একটা সমাধান করতে হবে। হল মালিকদের চেয়ে কিন্তু আমরা বেশি বিপদে আছি। নতুন তথ্যমন্ত্রী এসেছেন, আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। তার কাছে অনুরোধ এর একটা সমাধান করে দেন।’

No comments

Theme images by TommyIX. Powered by Blogger.